আমাদের কমিউনিটিতে নতুন? আজই রেজিষ্ট্রেশন করে আমাদের অন্যান্য পরিবারের সদস্য হয়ে যান।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি প্রোগ্রামিং এর জনক কে?

সি প্রোগ্রামিং ভাষার জনক হলেন ডেনিস রিচি। তিনি ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে বেল ল্যাবসে সি প্রোগ্রামিং ভাষাটি তৈরি করেন। রিচি, কেন থম্পসনের সাথে, ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন এবং প্রয়োগ করেছিলেন, এবং সি সিস্টেম সফ্টওয়্যার লেখার একটি উপায় হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল যা বিভিন্ন হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্মে চলতে পারে।

ডেনিস রিচি একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি ১৯৪১ সালে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি বেল ল্যাবে যোগদান করেন, যেখানে তিনি সি প্রোগ্রামিং ভাষার পাশাপাশি বিখ্যাত ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমও তৈরি করেন।

ডেনিস রিচিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৯৮৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের কাছ থেকে "ন্যাশনাল মেডেল অফ টেকনোলজি" পুরস্কার লাভ করেন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি প্রোগ্রামিং এর কাজ কি?

সি প্রোগ্রামিং ভাষার কাজ হলো কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া। এই নির্দেশাবলীর মাধ্যমে কম্পিউটার নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। সি প্রোগ্রামিং ভাষার মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে রয়েছে:

  • সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট: সি প্রোগ্রামিং ভাষা সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষাগুলির মধ্যে একটি। সি প্রোগ্রামিং ব্যবহার করে অপারেটিং সিস্টেম, ফাইল সিস্টেম, নেটওয়ার্কিং, এবং অন্যান্য সিস্টেম সফ্টওয়্যার তৈরি করা যায়।
  • অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট: সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার তৈরি করা যায়। যেমন:
  1. গেমস
  2. মেশিন লার্নিং মডেল
  3. ডেটাবেস অ্যাপ্লিকেশন
  4.  ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন
  5. ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন
  • ইমপ্লিমেন্টেশন: সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে অন্যান্য প্রোগ্রামিং ভাষার কম্পাইলার, লাইব্রেরি, এবং অন্যান্য সফ্টওয়্যার তৈরি করা যায়।

সি প্রোগ্রামিং ভাষার কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোঃ

  • দ্রুততা: সি প্রোগ্রামিং ভাষা খুব দ্রুত। সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে লেখা কোড অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা খুব দ্রুত বুঝতে এবং সম্পাদন করতে পারে।
  • কার্যকারিতা: সি প্রোগ্রামিং ভাষা খুব কার্যকর। সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে লেখা কোড খুব কম মেমরি ব্যবহার করে।
  • বহনযোগ্যতা: সি প্রোগ্রামিং ভাষা খুব বহনযোগ্য। সি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে লেখা কোড বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চলতে পারে।

সি প্রোগ্রামিং ভাষা একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী ভাষা। এই ভাষাটি শিখলে কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি কোন স্তরের ভাষা?

সি একটি মিড-লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি মেশিন ভাষার কাছাকাছি হলেও, এটি উচ্চ স্তরের ভাষার মতোও। সি ভাষার সাহায্যে, আমরা মেশিন ভাষার মতোই কম্পিউটারকে সরাসরি নির্দেশনা দিতে পারি, কিন্তু এটি উচ্চ স্তরের ভাষার মতোই সহজবোধ্য।

যেসব বৈশিষ্ট্যের কারণে সি কে মিড-লেভেল ল্যাংগুয়েজ বা ভাষা বলা হয়:

  • সি ভাষাতে মেশিন ভাষার মতোই নির্দেশনা রয়েছে, যেমন অ্যাড্রেসিং মোড, ডেটা টাইপ, অ্যারিথমেটিক অপারেশন, কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট, ইত্যাদি।
  • সি ভাষাতে প্রোগ্রামাররা মেশিন মেমরি অ্যাক্সেস করতে পারে।
  • সি ভাষাতে প্রোগ্রামাররা মেশিন কোডকে সরাসরি ইন্টারপোলেট করতে পারে।
আবার সি ভাষার কিছু বৈশিষ্ট্য যা এটিকে উচ্চ স্তরের ভাষা করে তোলে:
  • সি ভাষাতে উচ্চ স্তরের ভাষার মতোই ডেটা টাইপ রয়েছে, যেমন ইন্টিজার, ফ্লোটিং-পয়েন্ট, চরিত্র, ইত্যাদি।
  • সি ভাষাতে উচ্চ স্তরের ভাষার মতোই ভেরিয়েবল ডেক্লারেশন রয়েছে।
  • সি ভাষাতে উচ্চ স্তরের ভাষার মতোই ফাংশন রয়েছে।
সি ভাষা বিভিন্ন ধরনের সফ্টওয়্যার তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন অপারেটিং সিস্টেম, ডিভাইস ড্রাইভার, অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার, ইত্যাদি।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
কত সালে সি প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি হয়?

সি প্রোগ্রামিং ভাষাটি ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে বেল ল্যাবসে ডেনিস রিচি দ্বারা তৈরি হয়েছিল। রিচি, কেন থম্পসনের সাথে, ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন এবং প্রয়োগ করেছিলেন, এবং সি সিস্টেম সফ্টওয়্যার লেখার একটি উপায় হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল যা বিভিন্ন হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্মে চলতে পারে।

সি প্রোগ্রামিং ভাষার প্রথম সংস্করণটি ১৯৭৮ সালে ব্রায়ান কার্নিঘান এবং ডেনিস রিচি দ্বারা প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণটিকে "কে অ্যান্ড আর সি" নামেও পরিচিত। ১৯৮৯ সালে, আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট (ANSI) সি প্রোগ্রামিং ভাষার একটি মান প্রণয়ন করে। এই মানটিকে "ANSI C" নামেও পরিচিত।

সি প্রোগ্রামিং ভাষাটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষাগুলির মধ্যে একটি। এটি সিস্টেম সফ্টওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি প্রোগ্রামিং ভাষায় switch কি?

সি প্রোগ্রামিং ভাষায়, switch হলো একটি কন্ট্রোল সিস্টেম যা একটি ভ্যালুকে একটি তালিকার অন্য ভ্যালুগুলোর সাথে তুলনা করে এবং ভ্যালুটি যে ভ্যালুর সাথে মিলে যায় তার সাথে সম্পর্কিত কোডটি নিয়ে কাজ করে।

 switch সি প্রোগ্রামে বিভিন্ন কাজ করতে ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ

  • একটি সংখ্যার মান পরীক্ষা করার জন্য।
  • একটি অল্টারনেটিভ সিলেকশন করার জন্য।
  • একটি মেনু তৈরি করার জন্য।
যেমনঃ
#include <stdio.h>
int main() {
  int day = 1;
  switch (day) {
    case 1:
      printf("Today is Monday.\n");
      break;
    case 2:
      printf("Today is Tuesday.\n");
      break;
    case 3:
      printf("Today is Wednesday.\n");
      break;
    case 4:
      printf("Today is Thursday.\n");
      break;
    case 5:
      printf("Today is Friday.\n");
      break;
    case 6:
      printf("Today is Saturday.\n");
      break;
    case 7:
      printf("Today is Sunday.\n");
      break;
    default:
      printf("Invalid day.\n");
  }
  return 0;
}

 

আরোও ভালো ভাবে বুঝার জন্যঃ

switch (expression) {

  case value1:

    // code to be executed if expression == value1

    break;

  case value2:

    // code to be executed if expression == value2

    break;

  ...

  default:

    // code to be executed if expression does not match any of the cases

}


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
গ্যালিলিওকে কেন আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয়?

গ্যালিলিওকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয় কারণ তিনি তার আবিষ্কার এবং চিন্তাভাবনা দিয়ে বিজ্ঞানকে একটি নতুন পথ দেখান। তিনি বিজ্ঞানের উপর দর্শনের প্রভাবকে হ্রাস করেন এবং পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর জোর দেন। তিনি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন।

গ্যালিলিওর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • দূরবীন আবিষ্কার: গ্যালিলিওর দূরবীন আবিষ্কারটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। এটি তাকে মহাবিশ্বের দূরবর্তী বস্তুগুলিকে পর্যবেক্ষণ করতে এবং নতুন আবিষ্কার করতে সক্ষম করেছিল।
  • পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদান: গ্যালিলিও পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি গতিবিজ্ঞানের নীতিগুলি বিকাশে সহায়তা করেছিলেন এবং মহাকর্ষের ধারণাটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন।
  • জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদান: গ্যালিলিও জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি তার দূরবীন দিয়ে চাঁদ, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শুক্রের পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। এই পর্যবেক্ষণগুলি তাকে সৌরজগতের সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছিল।
গ্যালিলিওর অবদানগুলি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা করেছিল। তিনি বিজ্ঞানের উপর দর্শনের প্রভাবকে হ্রাস করেন এবং পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর জোর দেন। তিনি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন। এই অবদানগুলি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
গ্যালিলিও নিজের দূরবীন দিয়ে কী কী আবিষ্কার করেন?

গ্যালিলিও তার দূরবীন দিয়ে যেসব আবিষ্কার করেছিলেন সেগুলি ছিল বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই আবিষ্কারগুলি পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

গ্যালিলিওর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চাঁদ একটি পাহাড়ি এবং গর্তযুক্ত দেহ।
  • মঙ্গল গ্রহে মেরু ক্যাপ রয়েছে।
  • বৃহস্পতির চারদিকে চারটি উপগ্রহ রয়েছে।
  • শুক্রের উপরে পর্যায়ক্রমিক পর্যায়ক্রমিক রয়েছে।
  • সূর্যের পৃষ্ঠে দাগ রয়েছে।
এই আবিষ্কারগুলির প্রতিটিই ছিল বিপ্লবী। চাঁদ সম্পর্কে গ্যালিলিওর আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবীকে কেন্দ্রে রেখে মহাবিশ্বের ধারণাটি ভুল। মঙ্গল গ্রহে মেরু ক্যাপের আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবী মহাবিশ্বের একমাত্র গ্রহ নয়। বৃহস্পতির উপগ্রহগুলির আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবীর চারপাশে অন্যান্য গ্রহও উপগ্রহ থাকতে পারে। শুক্রের পর্যায়ক্রমিক পর্যায়ক্রমিক রয়েছে তা জানার অর্থ ছিল যে শুক্র সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, এবং এটি পৃথিবীর মতোই। সূর্যের পৃষ্ঠে দাগগুলির আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে সূর্য একটি জীবন্ত দেহ, এবং এটি স্থির নয়।
গ্যালিলিওর আবিষ্কারগুলি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা করেছিল এবং এটি প্রমাণ করেছিল যে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্যগুলি উন্মোচন করা সম্ভব। এই আবিষ্কারগুলি আজও প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি আমাদের পৃথিবী এবং মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

এখানে গ্যালিলিওর কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের আরও বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল:
চাঁদঃ গ্যালিলিও ১৬০৯ সালে তার দূরবীন দিয়ে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান যে চাঁদ একটি সমতল পৃষ্ঠ নয়, বরং পাহাড়ি এবং গর্তযুক্ত। তিনি চাঁদের পৃষ্ঠে বিভিন্ন আকৃতির দাগও দেখতে পান। এই আবিষ্কারগুলি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবীকে কেন্দ্রে রেখে মহাবিশ্বের ধারণাটি ভুল। যদি পৃথিবীকে কেন্দ্রে রেখে মহাবিশ্বের ধারণা সঠিক হত, তাহলে চাঁদ একটি সমতল পৃষ্ঠ হত।
মঙ্গলঃ গ্যালিলিও ১৬০৯ সালে তার দূরবীন দিয়ে মঙ্গল পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান যে মঙ্গলের দুই মেরুতে ক্যাপ রয়েছে। এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবী মহাবিশ্বের একমাত্র গ্রহ নয়। অন্যান্য গ্রহেরও মেরু ক্যাপ থাকতে পারে।
বৃহস্পতিঃ গ্যালিলিও ১৬০৯ সালে তার দূরবীন দিয়ে বৃহস্পতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান যে বৃহস্পতির চারপাশে চারটি উপগ্রহ রয়েছে। এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে পৃথিবীর চারপাশে অন্যান্য গ্রহও উপগ্রহ থাকতে পারে।
শুক্রঃ গ্যালিলিও ১৬১০ সালে তার দূরবীন দিয়ে শুক্র পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান যে শুক্রের পর্যায়ক্রমিক পর্যায়ক্রমিক রয়েছে। এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে শুক্র সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, এবং এটি পৃথিবীর মতোই।
সূর্যঃ গ্যালিলিও ১৬১১ সালে তার দূরবীন দিয়ে সূর্য পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখতে পান যে সূর্যের পৃষ্ঠে দাগ রয়েছে। এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করেছিল যে সূর্য একটি জীবন্ত দেহ, এবং এটি স্থির নয়।

এই আবিষ্কারগুলি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সূচনা করেছিল এবং এটি প্রমাণ করেছিল যে পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃতির রহস্যগুলি উন্মোচন করা সম্ভব।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
গ্যালিলিওর জীবন ও আবিষ্কার সম্পর্কে জানতে চাই?

গ্যালিলিও গ্যালিলি ইতালির পিসা নগরীতে ১৫৬৪ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। তিনি ছিলেন পিতা মাতার সপ্তম সন্তানের মধ্যে জেষ্ঠতম। তার বাবা ভিনসেনজো গ্যালিলি ছিলেন একজন সঙ্গীত বিশারদ এবং তুলার ব্যবসায়ী। সেই সময়ে ডাক্তারদের বেশ নাম যশ ছিলো। তাদের আয় ইনকাম মন্দ ছিলো না। ভিনসেঞ্জো ছেলেকে ডাক্তারী পড়ানোর বাসনা করলেন। তিনি গ্যালিলিও গ্যালিলিকে পড়াশুনা করানোর জন্য ১১ বছর বয়সে জেসুইট মনাসটেরিতে ভর্তি করে দিলেন।

বিজ্ঞান না ধর্মের পথঃ সাধরনত মিশনারী স্কুল গুলোতে ধর্মের উপর বেশী শিক্ষা দেয়া হয়। তখন ধর্ম আর বিজ্ঞান মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না এরকম অবস্থা। চার্চ ধর্মের নামে বিজ্ঞানের উপর খাড়া উচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গ্যালিলিও গ্যালিলি জেসুইটে অনেক কিছু শিক্ষা লাভ করলেন। জ্ঞান শিক্ষার প্রতি তার অদম্য আগ্রহ। চার বছর কেটে গেলো। এরপর গ্যালিলিও গ্যালিলি তার বাবা ভিনসেঞ্জো গ্যালিলিকে জানালো যে সে বিজ্ঞান নয় ধর্ম শিক্ষা করতে চায়। ভবিষ্যতে সে একজন সাধু (মংক) হতে ইচ্ছুক। ভিনসেঞ্জো ছেলের এই সিদ্ধান্তে আশাহত হলেন। তিনি চান না তার জেষ্ঠপুত্র সন্যাসীর জীবন গ্রহন করুক। তিনি গ্যালিলিও গ্যালিলিকে মনাসটেরি থেকে ছাড়িয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনলেন। ঘরে বসে আরো দুটি বছর পার করে দিলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি। এরপর ১৭ বছর বয়সে গ্যালিলিও গ্যালিলি পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিতার ইচ্ছানুযায়ী মেডিসিনে ভর্তি হলেন। ভিনসেঞ্জো এবার অনেক খুশী হলেন।

সরল দোলকের সুত্রঃ বাইশ বছর বয়সী গ্যালিলিও গ্যালিলি ক্যাথেড্রালে গেছে সেদিন। মাথার উপর একটি দোলক দুলছে। হঠাৎ গ্যালিলিও গ্যালিলি’র মাথায় চিন্তা এলো দোলকটির সামনে পিছনে যেতে ঠিক কতটি সময় লাগে? সে বাসায় ফিরে লম্বা ও খাটো সুতা ব্যবহার করে পরীক্ষা চালালো। দোলকটি সামনে পিছনে যেতে সমান সময় নিলো। গ্যালিলিও গ্যালিলি এমন কিছু আবিষ্কার করল যা আগে কেউ করেনি। গ্যালিলিও গ্যালিলি সুত্রকে কাজে লাগিয়ে তৈরী হলো সরল দোলক । সরল দোলকের সুত্রের উপর ভিত্তি করে সকল ঘড়ি তৈরী করা হয়। সরল দোলকের সুত্র গ্যালিলিও গ্যালিলিকে পরিচিতি এনে দিলো।

একমাত্র অংক ছাড়া অন্য সকল বিষয়ে গ্যালিলিও গ্যালিলি’র ফলাফল খারাপ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্যালিলিও গ্যালিলি’র পরিবারকে জানালো এরকম হলে তাদের ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন ডিগ্রি নিয়ে বের হতে পারবে না। ভিন্সেঞ্জো আবার চিন্তায় পড়লেন। ছেলেটা তার হাড় মাস জ্বালিয়ে খেলো। গনিতবিদ তুসকান কুওর্টের তত্বাবধানে গ্যালিলিও গ্যালিলিকে গণিত অধ্যায়নে রাখা হলো। ভিন্সেঞ্জো স্বস্তি পেলেন। অংকবিদদের কামাই রোজগার কম নয়। কিন্তু গ্যালিলিও গ্যালিলি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি অর্জনের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিলেন।

বেঁচে থাকার তাগিদে গ্যালিলিও ছাত্র পড়ানো শুরু করলো। অংকের টিউশনি করলে তার জীবনের উদ্দেশ্য ছিলো বড় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিভাগে চাকুরী করা। সে অনেক জায়গায় আবেদন করলো। কিন্তু কেউই তার প্রতিভার মূল্যায়ণ করলো না। তারা গ্যালিলিও গ্যালিলি’র পরিবর্তে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচন করলেন। ভাসমান কিছু বস্তু নিয়ে গ্যালিলিও গ্যালিলি গবেষনা চালিয়ে যেতে থাকলেন। তিনি একটি মাপযন্ত্র নির্মান করলেন। এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি নির্ণয় করতে সক্ষম হন সোনা পানির তুলনায় ১৯.৩ গুন ভারী।

সাহিত্যের উপর একটি আলোচনা গ্যালিলিও গ্যালিলি’র ভাগ্য খুলে দিলো। আকাদেমি অফ ফ্লোলেন্স শতবর্ষ পুরাতন বিতর্ক দান্তের নরকের অবস্থান, আকার আকৃতি নিয়ে আলোচনা করতে চাইলো। গ্যালিলিও গ্যালিলি একজন বৈজ্ঞানিকের দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন। উপস্থিত দর্শক শ্রোতা গ্যালিলিও গ্যালিলি’র ব্যাখায় সন্তুষ্ট হলেন। তাকে পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছরের জন্য শিক্ষাদানের জন্য নিযুক্ত করা হলো। এই সেই বিশ্ববিদ্যালয় যারা গ্যালিলিও গ্যালিলিকে একটি সনদ দিতে রাজী হয় নাই।

গ্যালিলিও গ্যালিলি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেন তখন এরিষ্টটলের একটি সুত্রের উপর ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। ভারী বস্ত হালকা বস্তুর তুলনায় দ্রুত নিচে পড়ে। গ্যালিলিও গ্যালিলি এটা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমান করতে চাইলেন। পাশেই আছে পিসার হেলানো টাওয়ার। ৫৪ মিটার উচূ এই টাওয়ারে গ্যালিলিও গ্যালিলি বেয়ে উঠে গেলেন। সাথে নিলেন বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন ওজনের বল। টরে পেনডেন্টে ডি পিসা ১১৭৩ সালে থেকে ১৩৫০ সালের মধ্যে নির্মিত হয়। পিসার হেলানো টাওয়ারটি এখন ৩.৯৭ ডিগ্রি কোনে হেলে আছে। গ্যালিলিও গ্যালিলি টাওয়ারের শীর্ষদেশ থেকে বিভিন্ন আকৃতির বলগুলো গড়িয়ে দিলেন। নিচে ছাত্র- প্রফেসর- জনতার বিশাল ভীড়। সবাই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন সব বল গুলো একই সাথে একই সময়ে ভূমিতে এসে পতিত হলো। এরিষ্টটল ভূল ছিলেন।


সহকর্মীদের সাথে গ্যালিলিও গ্যালিলি খারাপ ব্যবহার করতেন। একজন জুনিয়র শিক্ষকের পক্ষে সিনিয়রদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে টিকে থাকা অসম্ভব ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্যালিলিও গ্যালিলি সাথে তিন বছর শেষে চুক্তি আর নবায়ন করতে রাজী হলোনা। গ্যালিলিও গ্যালিলি পদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলেন। ১৫৫৩ সালে গ্যালিলিও গ্যালিলি অনেক টাকার প্রয়োজন হলো। বাবার মৃত্যুর পরে গ্যালিলিও গ্যালিলি এখন পরিবারের প্রধান। বোনের বিয়ের যৌতুক পরিশোধ করতে গ্যালিলিও গ্যালিলিকে প্রচুর ঋণ নিতে হলো।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি ভাষায় ব্যবহৃত কী ওয়ার্ড কয়টি?
সি ভাষায় ব্যবহৃত কিওয়ার্ড সর্বমোট ৩২ টি।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি প্রোগ্রামিং এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?

সি প্রোগ্রামিং ভাষার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:

  • মধ্যস্তরের ভাষা (Middle-level language): সি একটি মধ্যস্তরের ভাষা, যা উচ্চস্তরের ভাষা এবং নিম্নস্তরের ভাষার মধ্যে একটি সেতু। এটি উচ্চস্তরের ভাষার সুবিধা যেমন সহজে পড়া ও বোঝা যায়, এবং নিম্নস্তরের ভাষার সুবিধা যেমন হার্ডওয়্যারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়, উভয়ই প্রদান করে।
  • বহনযোগ্যতা (Portability): সি প্রোগ্রাম যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে চালানো যায়। এটি সি প্রোগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
  • কর্মক্ষমতা (Efficiency): সি প্রোগ্রামে রচিত কোড সাধারণত খুবই দক্ষ হয়। এটি সি প্রোগ্রামকে সিস্টেম প্রোগ্রামিংয়ের জন্য আদর্শ করে তোলে।
  • সাধারণ-উদ্দেশ্য ভাষা (General-purpose language): সি প্রোগ্রাম দিয়ে যেকোনো ধরনের প্রোগ্রাম লেখা যায়। এটি সি প্রোগ্রামকে একটি জনপ্রিয় ভাষা করে তুলেছে।
  • শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ কাঠামো (Strong control structure): সি প্রোগ্রামে রয়েছে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, যা প্রোগ্রামকে আরও দক্ষ ও নিয়ন্ত্রিত করে তোলে।
  • অনুবাদক সহজ (Easy to compile): সি প্রোগ্রাম সহজেই অনুবাদ করা যায়। এটি সি প্রোগ্রামিং শুরু করার জন্য একটি আদর্শ ভাষা করে তোলে।


সি প্রোগ্রামিং ভাষার এইসব বৈশিষ্ট্যগুলিই একে একটি জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা করে তুলেছে।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সি প্রোগ্রামিং কি?
সি প্রোগ্রামিং হলো একটি প্রোগ্রামিং ভাষা, যা ডেনন রিচি নামক এক ব্যক্তি ১৯৭২ সালে তৈরি করেছিলেন। এটি একটি উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য এটি ব্যাসিক হিসেবে ধরা হয়। সি প্রোগ্রামিং ভাষার প্রধান লক্ষ্য হলো হার্ডওয়্যার প্রোগ্রামিং, তবে এটি জেনেরাল-পারপোজ প্রোগ্রামিং এও ব্যবহার হয়ে থাকে।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস কি?

বিজ্ঞানের ইতিহাসে আলবার্ট আইনস্টাইনের নাম অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে। ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে তিনি মানুষের চিন্তার জগতে কয়েকটি বৈপ্লবিক ধারনার সৃষ্টি করেছিলেন। এই ধারণাগুলির মধ্যে ভর ও শক্তির বিনিময়তা ছিল অন্যতম। তার সেই বিখ্যাত সমীকরণটি হল, E=mc2। এখানে E দ্বারা শক্তি m দ্বারা ভর এবং c দ্বারা প্রতি সেকেন্ডে আলোর বেগকে বোঝান হয়েছে। অর্থাৎ পদার্থের ভরকে আলোর বেগের বর্গ দ্বারা গুণ করলে যে শক্তি পাওয়া যায় সেটাই হল ঐ পরিমাণ পদার্থের আবদ্ধ শক্তি।


image

আমরা জানি যে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার অর্থাৎ ১৮৬০০০ মাইল । সুতরাং খুব অল্প পরিমাণ পদার্থকেও যদি ৩০ কোটির বর্গ দিয়ে গুণ করা হয় তাহলে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে সেটার হিসাব বের করা খুব কঠিন নয়। তখন তার মর্ম না বুঝলে ও পরবর্তিতে তার মর্ম যথাযথ ভাবে বুঝেছে মানুষ।
দুই হাজার বছর আগে গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস পরমাণুর ধারণা প্রবর্তন করেছিলেন। atom ইংরেজি শব্দ যার প্রতি শব্দ পরমাণু। যাকে আর ভাগ করা যায় না। ডেমোক্রিটাসের মতে, ‘পৃথিবীতে একমাত্র বিদ্যমান পদার্থ হল পরমাণু ও শুণ্যস্থান, আর বাকি সব কিছু অভিমত মাত্র।
উনবিংশ শতাব্দীতে জন ডালটন পদার্থের পারমাণবিক গঠনের ধারণাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ডালটনের মতবাদের অনেক সমালোচনা হওয়ার পর বেকারেল, পিয়ারে কুরি ও মেরি কুরি বিজ্ঞানী কতৃক তেজষ্ক্রিয় মৌলের আবিষ্কার, থমসন কতৃক ইলেকট্রনের আবিষ্কার এবং ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম ও থোরিয়াম থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় রশ্নির অনুশীলন করার পর সন্দেহের কোন অবকাশ রইল না যে পদার্থের গঠন সত্যিই পারমানবিক। পরবর্তিতে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড পরমাণুর একটি মডেল আবিষ্কার করেন। যেখানে তিনি বলেছেন পরমাণুর একটি কেন্দ্র আছে যার নাম নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসে থাকে ধনাত্নক আধান বিশিষ্ট প্রোটন এবং চার্জ নিরপেক্ষ নিউট্রন। আর নিউক্লিয়াসের বাইরে বৃত্তাকার কক্ষ পথে থাকে ঋণাত্নক আহিত ইলেকট্রন। ইলেকট্রন গুলো সর্বদা ঘূর্ণায়মান। পরমাণুর মোট ভরের শতকরা ৯৯.৯৭৫ অংশ অবস্থিত এই নিউক্লিয়াসে। এর গড় ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ৩x১০০০০০০০০০০০০ কিলোগ্রাম। পরমাণুর উপাদান প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রনের মোট ভরের তুলনায় পরমানুটির ভর যতটা কম তাকেই শক্তির একক কে E=mc2 প্রকাশ করলে আমরা পরমাণুর সংযোগী শক্তির সন্ধান পাই।

১৯৩৮ সালে জার্মানীর অটোহান এবং স্ট্র্যাসম্যান নামে দুইজন রসায়মবিদ ইউরিনিয়াম ২৩৫ মৌলের পরমাণু ভাঙ্গতে সফল হন। ফলে সারা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৮ সালের এক অধিবেশনে বোর পরমাণুর ভাঙ্গন ও তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে ঘোষণা করলেন। বোরের ভাষণ শেষ হওয়ার আগেই শ্রোতাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন দ্রুত সভাকক্ষ ত্যাগ করে টেলিফোনে ব্যাপারটা স্ব স্ব গবেষণাগারে জানিয়ে দিলেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়াশিঙটনের কারনেজ ইনস্টিটউশন এবং কলম্বিয়া বিম্ববিদ্যায়ের বিজ্ঞানীরা হানস্ট্র্যাসমেন আবিষ্কারকে স্বীকৃতি জানালেন। কারণ পারমাণবিক বোমা নির্মাণের চাবিকাঠি নিহিত ছিল এই আবিষ্কারটিতে। নির্ধারিত কোন কোন ভারী পরমাণুর একের পর এক পর্যায়ক্রমিক বিভাজন প্রক্রিয়াকে সমপ্রতিক্রিয়াধারা বলা হয়। সহজে বিদারণীয় মৌল দ্বারা বন্দীকৃত এই নিউট্রিন পরবর্তী পর্যায়ের বিভাজন ঘটায় এবং এ ভাবেই ধারাটা চলতে থাকে। পারমাণবিক বোমায় এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক শক্তি বা অস্ত্র উৎপাদনের জন্য দরকার এমন একটি প্রক্রিয়ার সূচনা করা যাকে বলা হয় সমপ্রতিক্রিয়াধারা। ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস মোটামুটি সমান দু’ভাগে বিভক্ত হলে যদি সেই সাথে এক বা একাধিক নিউট্রন নির্গত হয় তাহলেই শুধু সমপ্রতিক্রিয়াধারা ঘটানো সম্ভব। 

১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দে জোলিয়ো কুরি ও তার সহযোগিরা দেখালেন যে ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস ভাঙ্গলে নিউট্রন বের হয়ে আসে। এ আবিষ্কারের মারাত্নক সম্ভাবনা ও পরিণতি সম্বন্ধে ঝিলার্ড ও ফার্মী সচেতন ছিলেন। যার ফলে ঝিলার্ড ও ফার্মী আগে থেকে ইউরিনিয়াম ভাঙ্গার রহস্য প্রকাশ করেন নি এবং জোলিয়ো ও কুরিকে তা প্রকাশ করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু জোলিয়ো ও কুরি বুঝলেন উল্টো। তারা মনে করলেন ঝিলার্ড ও ফার্মী তাদের আগে তা প্রকাশ করে করবেন। 

সমসাময়িক সময়ে সমপ্রতিক্রিয়াধারা অন্বেষনে ফরাসীরা অন্যদের তুলনায় বেশ অনেকখানি এগিয়ে ছিল। তাই জোলিয়ো ও কুরি গোপনীয়তার কথা প্রত্যাখান করলেন। ১৯৩৯ সালের ১৫ এপ্রিল ফিজিক্যাল রিভউ পত্রিকায় প্রকাশিত হল ঝিলার্ড ও তার সহকর্মীদের প্রবন্ধ। এক সপ্তাহ পরে ইউরিনিয়াম নিউক্লিয়াস বিভাজনে নির্গত নিট্রনের সংখ্যা। শিরোনামে ফরাসী বিজ্ঞানীদের একটি নতুন প্রবন্ধ 'দি নেচার' প্রত্রিকায় প্রকাশিত হল। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল নিউট্রনের গড় সংখ্যা ৩ থেকে ৪ এর মধ্যে। ফরাসী বিজ্ঞানীরা দ্রুত ৫টি পেটেন্ট গ্রহণ করে তাদের অগ্রগামী অবস্থার পরিচয় দিলেন। ইউরিনিয়াম ও মডারেটর কি অনুপাতে সন্নিবিষ্ট করতে হবে এবং সন্নিবেশে তাদের সমসত্ব ও অসমসত্ব বিন্যাস এ পেনেন্টে উল্লেখ ছিল। 

বিভাজনে নির্গত নিউট্রন মন্দনের জন্য মডেরেটর হিসাবে বেরিলিয়াম, গ্রাফাইট, পানি এবং ভারী পানি ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমপ্রতিক্রিয়াধারাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় আলোচিত হয়েছিল এবং উৎপন্ন তাপকে কিভাবে সংগ্রহ করা যায় সে সম্বন্ধে কয়েকটি পদ্ধতিও এ পেটেন্টে বর্নিত হয়েছিল। ইউরিনিয়াম ২৩৫ এর মত সহজে বিদারণীয় পদার্থ যা বিস্ফোরণমূখী হয়ে দ্রূত নিউট্রন সমপ্রতিক্রিয়াধারার সৃষ্টি করে সে কৌশলকে পারমাণবিক বোমা বলে।
১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দের শেষের দিকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই ফরাসী বিজ্ঞানীরা পারমানবিক বোমা ও শক্তি উৎপাদনের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। 

যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে হিটলার ঘোষনা করেছিলেন যে জার্মানীর হাতে এমন এক ভয়ংকর গোপন অস্ত্র আছে যার গতি রোধ বা ধ্বংশ করার কৌশল কারোর জানা নেই। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বিজ্ঞানী ছাদউইককে হিটলারের গোপন অস্ত্রের শক্তির উৎস অনুসন্ধান করার অনুরোধ করেন। ছাদউইক তার প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সরকারকে জানিয়েছিলেন যে ১ থেকে ৩০ টন ইউরিনিয়াম যোগার করতে পারলে এই ধরনের বোমা তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু অটো ফ্রিস ও রুডলফ পিয়ারলস বিজ্ঞানীদ্বয় হিসাব করে দেখালেন যে প্রাকৃতিক ইউরেনিয়ামের পরিবর্তে যদি খাঁটি ইউরেনিয়াম ২৩৫ মৌল ব্যবহার করা হয় তাহলে ১ থেকে ৩০ টন ইউরেনিয়ামের দরকার নেই বরং কয়েক পাউন্ড ইউরেনিয়াম হলেই বিষ্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।

ইউরিনিয়াম ২৩৫ মৌল পৃথকীকরণ করার জন্য সেন্ট্রিফউজ প্লান্টের জন্য ৩৮ মিলিয়ন ডলার, বায়বীয় ব্যাপন প্লান্টের জন্য সীমাহীন ডলার, তড়িৎ চুম্বকীয় পৃথকীকরণের জন্য ১২ মিলিয়ন ডলার, প্লুটোনিয়াম গাদা তৈরির জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলার এবং ভারী পানি উৎপাদনের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুই মিত্র ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় মিত্র রাশিয়াকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে পারমাণবিক বোমা তেরির উদ্যোগ গ্রহন করল। অবশ্য এটা জানা কথা যে ব্রিটেন কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কউই বলশেভিক রাশিয়াকে খুব একটা সুনজরে দেখে না। অতএব তাদের এই আচরণ অবাঞ্ছনীয় হলেও অপ্রত্যাশিত ছিল না।

কান টানলে যেমন মাথা এসে পড়ে, পারমানবিক বোমা সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তেমনি, ‘ভারী পানির’ প্রসঙ্গ এসে পড়বেই। কিন্তু এই ভারী পানি বস্তুটি যেমন আমাদের অপরিচিত ঠিক তেমনি অতি দূর্লভ । আমরা জানি যে পানি একটি যৌগিক পদার্থ যার একটি অণুতে আছে দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু আর একটি অক্সিজেন পরমাণু । এর আগে ইউরিয়াম মৌলের আলোচনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছিলাম যে ইউরিয়াম তিনটি আইসোটোপয় অবস্থায় বিদ্যমান ইউরিনিয়াম ২৩৪, ইউরিনিয়াম ২৩৫ ও ইউরিনিয়াম ২৩৮। হাইড্রোজেন মৌল দুইটি আইসোটোপিয় অবস্থায় প্রকৃতিতে বিরাজ করে প্রোটিয়াম, ডয়টেরিয়াম। প্রোটিয়ামের ভর সংখ্যা ১.০০৭৮২u। প্রকৃতিতে বিদ্যমান হাইড্রোজেনের শতকরা ৯৯.৯৮৫ ভাগ এই প্রোটিয়াম। কিন্তু শতকরা মাত্র ০.০১৫ ভাগ হাইড্রোজেন বিরাজ করে যে আইসোটোপীয় অবস্থায় তার নাম ডয়টরিয়াম এবং তার ভর সংখ্যা ২.০১৪০u। সুতরাং প্রোটিয়ামকে আমরা হাল্কা হাইড্রোজেন এবং ডয়টরিয়ামকে ভারী হাইড্রোজেন বলতে পারি।

 আমাদের অতি পরিচিত পানির অণুতে আছে প্রোটিয়াম আর অক্সিজেন। কিন্তু আমরা যে ভারী পানির উল্লেখ করেছি সেই পদার্থটির অণুতে আছে ডয়টরিয়াম ও অক্সিজেন। এ জন্যই তাকে বলা হয় ভারী পানি। পারমাণবিক শক্তি বা অস্ত্র তৈরিতে একটি মহার্ঘ উপাদান এই ভারী পানি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় কয়েক বছর আগে থেকে পারমাণবিক শক্তি বা অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে চারটি সংস্থা গবেষণা চালাচ্ছিল। ব্রিটেনের থমসন কমিটি, ফ্রান্সের ফ্রেডারিক জোয়ালিয়োর নেতৃত্বে কলেজ ডি ফ্রান্স দল, জার্মান দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিগস কমিটি। পারমাণবিক শক্তি ও বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে পরিচালিত গবেষণায় এই চারটি দলের মধ্যে ফরাসীরাই ছিল অগ্রগামী। ফরাসী দল ইতিমধ্যেই গ্রাফাইটকে মডারেটর হিসাবে ব্যবহার করে যে পরীক্ষা চালিয়েছিল তা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব হয় নি। সুতরাং তারা ভারী পানিকে নিয়ন্ত্রক বা মডারেটর হিসাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। ১৯৪০ সালের প্রথম দিকে একমাত্র নরওয়ের রুকানে শিল্প মাত্রায় ভারী পানি তৈরী হচ্ছিল। ফরাসী বিজ্ঞানীরা ফরাসী সমরাস্ত্র মন্ত্রী দুত্রীকে এটা বোঝাতে সমর্থ হলেন যে নরওয়ের ভারী পানির ভান্ডার তাদের হস্তগত করা খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণের পুর্বেই ফরাসীরা যে সংবাদ পেল তা রীতিমত ভীতিকর।

 গোয়েন্দা সুত্রে তারা জানতে পারল জার্মানরা যে শুধু নরওয়ে কারখানার গোটা মজুদ ভান্ডার কেনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে তাই নয় তারা আরও বেশি পরিমাণে এবং নিয়মীত ভারী পানি সরবরাহের জন্য তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এ রকম জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে এলেন লেফটেনান্ট জ্যাকুস আলিয়ার নামে একজন তরুন ফরাসী। আলিয়ার ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তাকে ফরাসী গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিশেষ শাখায় একজন অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। জার্মানদের পারমাণবিক গবেষণা সম্বন্ধে ফরাসীদের জ্ঞাত সব কিছুই আলিয়ার সমরাস্ত্র মন্ত্রীকে ব্যাখ্যা করলেন। কিন্তু এই জ্ঞান ছাড়াও তার যে গুণটি ছিল আরও গুরুত্বপূর্ণ তা হল তিনি যে ব্যাঙ্কের সদস্য ছিলেন সেই ব্যাঙ্কের বিরাট আর্থিক লগ্নি ছিল নোর্স্ক হাইড্রো কোম্পানীতে। আর এই হাইড্রো কোম্পানীই ছিল রুকান ভারী পানি কারখানার মালিক। ১৯৮০ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে আলিয়ার অসলোর উদ্দেশ্যে প্যারিস ত্যাগ করেন। পথে স্টকহল্ম থেকে তিনি তাদের গোয়েন্দা সংস্থার তিনজন সদস্যকে সাথে নিলেন। নোর্স্ক হাইড্রো কারখানাটির মহাপরিচালক ছিলেন ডক্টর এক্সেল উবার্ট।

 অসলোতে পৌছেই তিনি সত্বর উবার্টের সাথে সাক্ষাত করলেন। আলিয়ারের আগেই জার্মানরা উবার্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু উবার্ট যখন জার্মানীদের কাছ থেকে জানতে চান যে কি উদ্দেশ্যে তাদের ভারী পানির প্রয়োজন তখন তাদের জবাব গুলি শুনে তার মন সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছিল। জার্মানরা আগে থেকে চেষ্টা করেও যা করায়ত্ত করতে পারে নি আলিয়ার তার বুদ্ধি ও কুশলতায় তা করায়ত্ত করতে সমর্থ হলেন। অর্থাৎ অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

চুক্তি অনুযায়ী নরওয়ের কাছে মজুদ ১৮৫ কিলোগ্রাম ভারী পানি ফরাসীদের হস্তগত হল। সে সময় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ তুমুল ভাবে চলছিল। ফরাসীরা নরওয়ে থেকে কিভাবে ভারী পানির পাত্র গুলো আনবেন সে চিন্তায় অস্থির কারণ জার্মান সৈন্যরা এই ভারী পানির পাত্র গুলোর দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতেন। প্রথমে পরিকল্পনা করা হয় ভারী পানির ছাব্বিশটি পাত্র সাবমেরিন যোগে ফ্রান্সে আনা হবে। কিন্তু পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে আবার সরে আসলেন। অনেক কৌশলে জার্মানদের চোখে ধূলো দিয়ে আলিয়ার ও তার সহকর্মীরা ভারী পানি ভর্তি ছাব্বিশটি পাত্র বিমানে করে স্কটল্যান্ডের এডিনবারায় নিয়ে আসেন। সেখান থেকে এ পাত্রগুলোকে আবার লন্ডনে চালান করা হয়।

১৬ মার্চে আলিয়ার ও তার সহকর্মীরা প্যারিসে ফিরে এলেন। সংগে নিয়ে এলেন সে সময়কার পৃথিবীতে মজুদকৃত সমুদয় ভারী পানি। এই ভারী পানির পাত্র গুলোকে রাখা হল একটি কলেজের গুদামের মাটির নিচে। পাশাপাশি সেই গুদামের উপরে এমন একটি ছাদ নির্মান করা হল যা এক হাজার পাউন্ড বোমায়ও ক্ষতি করতে না পারে।

image

১৯৪০ সালের ১০ মে জার্মানী ফ্রান্স আক্রমন করে। জার্মানরা ফ্রান্সের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ক্ষিপ্রতার সাথে অগ্রসর হতে থাকে। ফরাসী সরকারের পতন আসন্ন। পরাজয় যখন খুবই সন্নিকটে সেই পরিস্থিতিতে ফরাসী সমরাস্ত্র মন্ত্রী দুত্রি নানা জামেলার মধ্যেও এই মহার্ঘ ভারী পানির কথা ভুলে যাননি। পরাজয়ের মুখোমুখি দাড়িয়েও তার মনে হল এ সেই পদার্থ যা একদিন অবস্থান্তরে ফরাসীদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তিনি জুলিয়ো কুরিকে নির্দেশ দিলেন যে এগুলি যেন শত্রুর করায়ত্ব না হয় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। জোলিয় কুরি হলবানকে নির্দেশ দিলেন সেগুলি প্রথমে মধ্য ফান্সের মন্ট দোরে নিয়ে যেতে এবং সেখান থেকে পরে ক্লেয়ারমন্ট ফেরান্ডে নিয়ে ব্যাংক ডি ফ্রান্সের সিন্দুকে সুরক্ষিত রাখতে। ভারী পানির পাত্র, কিছু রেডিয়াম এবং মুল্যবান দলিলপত্র মোটর গাড়িতে তুলে হলবান সপরিবারে যাত্রা শুরু করলেন। 

পরের দিন তিনি রিয়ম শহরে গিয়ে পৌছলেন। সেখানে একটি ছোট্র বাসায় হলবান তার যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক করে নিলেন। তার আসল দরকার ছিল প্রবাহমান জলধারার। সেখানে জোলিয় কুরিসহ তার দলের অনেক বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তারা পারমানবিক বোমা তৈরির ছোটখাট গবেষনার কাজ চালাতে থাকেন। হঠাৎ একদিন আলিয়ার এসে জানালেন শত্রু খুব দ্রুতবেগে অগ্রসর হচ্ছে তাই ফরাসী সরকার নির্দেশ দিয়েছেন যে ভারী পানির পাত্র গুলোকে অন্য কোন দেশে সরিয়ে নিতে।

বাকি অংশ মন্তব্যে....

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
নিউটনের মাথায় কি সত্যিই আপেল পড়েছিল? আসল ঘটনা কি?

বিজ্ঞানী আর নিউটন শব্দটা এখন ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আপনাকে যদি বলা হয় একজন বিজ্ঞানীর নাম বলেন। আমি বাজি ধরে বলতে পারি আপনার মাথায় প্রথম যাদের নাম আসবে তাদের মধ্যে অবশ্যই বিজ্ঞানী নিউটন থাকবেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মনিষী জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৬৪২ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর মহান ক্রিসমাস ডে তে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা সিনিয়র আইজ্যাক নিউটন ছিলেন একজন সম্ভান্ত্র কৃষক। নিউটনের জন্মের তিনমাস পূর্বে তার বাবা মারা যান। নিউটন জন্মের সময় অপরিনত ছিলো। তার সাইজ এত ছোট ছিলো যেসেটা বর্ণনা করতে গিয়ে তার মা হান্না আউসকফ বলেন, নিউটন এত ছোট ছিলো যে তাকে একটা কোয়ার্ট মগের ভিতর রাখা যেত। কোয়ার্ট মগে ১.১ লিটারের মত পানি ধরে। নিউটনের বয়স যখন তিন তখন হান্না পূণরায় বিয়ে করেন রেভারেন্ড বার্নাবাস স্মিথকে। হান্না স্মিথের সংসারে চলে যান। নিউটনকে তার নানী মার্গারি আয়ুসকফের কাছে রেখে যান। নিউটন তার সৎবাবাকে অপছন্দ করত। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য সে তার মাকে শত্রু ভাবতে শুরু করে। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সে তাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ ছোটখাট অপকর্ম করেছে। সে তার মাতা ও সৎ পিতা এবং তাদের বাড়ী পূড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিত। অভিযোগ করা হয় যে নিউটন সে চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার সুস্পষ্ট কোন দলিল পাওয়া যায় না। নিউটন কখনো বিয়ে করেননি।


বারো থেকে সতের বছর বয়স পর্যন্ত নিউটন গ্রান্থামে “দ্যা কিংস স্কুলে’ অধ্যায়ন করেন। ১৬৫৯ সালের অক্টোবরে তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। নিউটন জন্মস্থান উলস্থোরপে ফিরে আসেন মায়ের কাছে। হান্না তখন দ্বিতীয় বারের মত বিধবা হয়েছেন। হান্না ছেলেকে চাষ বাসের কাজে নিয়োজিত করলেন। লেখাপড়া যখন হলো না তখন বাপের পেশাই করুক। অনেকটা আমাদের বাঙালী অভিভাবকের মত ভাবনা। নিউটনের এই সব চাষাবাদ ভালো লাগে না। কিংস স্কুলের শিক্ষক হেনরি স্টোকস নিউটনের মা কে বোঝালেন ছেলের লেখাপড়া শেষ করানো উচিত। ফলে নিউটন আবার স্কুলে গেলো। স্কুলের মাঠে সহপাঠীরা তাকে খেপাতো। নিউটন সবার থেকে বেশী নম্বর পেয়ে টপ র‍্যাংকড স্টুডেন্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন।


নিউটন আর থেমে থাকেননি। আলো, গতি, ভর, বেগ, শক্তি, জ্যোতির্বিদ্যা, ক্যালকুলাস নানাবিধ ক্ষেত্রে সফল হয়েছিলেন নিউটন। বিজ্ঞানের ইতিহাসে অবিস্মরনীয় নাম বিজ্ঞানী নিঊটন। স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি কলেজে ভর্তি হন। নিউটনের ছাত্রাবাসের নিচের আপেল গাছটি বিজ্ঞানের জন্য অশেষ করেছে। কাহিনীটি সবার জানা। আমি সংক্ষেপে বলে ফেলি। একটি আপেল গাছের নিচে বসে নিউটন বই পড়ছিলেন। আমাদের দেশে যেমন আম জাম কদবেলের গাছ সচরাচর পাওয়া যায় ওদের দেশে তেমন আপেল গাছ। তুমি ভাবছ গাছে পাকা আপেল রেখে কোন নির্লিপ্তের বইয়ে মন যায়! নিউটন কিন্তু পড়তে ভালোবাসতেন। তিনি বই পড়ছেন। হঠাৎ টুপ করে তার মাথায় একটা আপেল খসে পড়ল। আমাদের সামনে আপেল পড়লে আমরা সেটা কুড়িয়ে নিতাম খাওয়ার জন্য। নিউটন কিন্তু তা করলেন না। তার মাথায় নয়া ভাবনা চলে এলো। আপেল কেন গাছ থেকে নিচে পড়ে। সে তো আকাশের দিকেও চলে যেতে পারত। তাহলে কেন পৃথিবীর বুকে এসে পড়ে। আবিষ্কৃত হলো অভিকর্ষজ বল।


নিউটনের মাথায় আপেল


নিউটন বলের তিনটি সুত্র (ল’জ অফ মোশন) আবিষ্কার করলেন। সুত্র তিনটি সংকলিত হয় তার বিখ্যার বই ফিলোসফি ন্যাচারালিস প্রিনিসিপিয়া ম্যাথমেটিকা ( ম্যাথমেটিক্যাল প্রিন্সিপাল অফ ন্যাচালাল ফিলোসফি) বইয়ে। বইটি ১৬৮৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৭২৭ সালের ২০ মার্চ নিউটন গ্রেট ব্রিটেনের মিডল সেক্স রাজ্যের কেনসিংটনে ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
উড়োজাহাজ আবিষ্কার হয় কিভাবে?

পিতা তার দুই ছেলেকে একটি খেলনা হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিলেন। সেটি দেখে দুই ভাই নতুন একটি হেলিকপ্টার তৈরি করে। তখনই বোঝা গিয়েছিল উদিত সূর্যের তেজ। কারণ ওই খেলনা হেলিকপ্টার থেকেই জন্ম নেয় একটি স্বপ্নের- উড়োজাহাজ বানিয়ে দুই ভাই মিলে আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন। 

গির্জার যাজক মিল্টন রাইট তার দুই ছেলে উইলবার রাইট এবং অরভিল রাইটকে একটি খেলনা হেলিকপ্টার উপহার দেন। সেটির নকশা করেছিলেন হেলিকপ্টার উদ্ভাবক ফ্রান্সের আলফোন্স পেনাউড। কাগজ, বাঁশ এবং একটি রাবার ব্যান্ডের সঙ্গে কর্ক বেঁধে সেটি তৈরি করা হয়েছিল। উইলবার এবং অরভিল খেলনাটি নিয়ে মেতে ওঠেন। বহু ব্যবহারে সেটি ভেঙে গেলে দুই ভাই মিলে একটি খেলনা হেলিকপ্টার তৈরি করে ফেলেন। এরপর থেকে তারা স্বপ্ন দেখতে থাকেন হেলিকপ্টারে উড়ে নীল আকাশ পরিভ্রমণের। এভাবে তাদের মনোজগতে আকাশে ওড়ার বাসনা তৈরি হয়। আর এই বাসনা থেকেই দুই ভাইয়ের মনে বিমান তৈরির বীজ রোপিত হয়েছিল।


image

উইলবার রাইট ১৮৬৭-এর ১৬ এপ্রিল আমেরিকার ইন্ডিয়ানা রাজ্যের মিলভিলে এবং অরভিল রাইট ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ আগস্ট ওহাইও রাজ্যের ডেটনে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম তো আগেই বলেছি, এই দুই ভাইয়ের মায়ের নাম সুসান ক্যাথেরাইন কোয়েরনা। যাজক বাবাকে নানা জায়গায় ঘুরতে হতো অর্পিত দায়িত্ব পালনের কারণে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি দুই ভাইয়ের অনাগ্রহ ছিল। স্কুলে ভর্তি হলেও সার্টিফিকেট গ্রহণের আগেই তারা স্কুল ত্যাগ করেন। উইলবার ছিলেন ভালো এথলেট। কৈশরে আইস-স্কেটিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় তার সামনের কয়েকটি দাঁত ভেঙে যায়। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে তার আর বড় কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি। এ সময়ই তার মা যক্ষায় আক্রান্ত হলে তিনি মায়ের সেবায় বড়িতেই থাকেন। কিন্তু বাড়িতে থাকলে কী হবে, পড়াশোনা কিন্তু সে ঠিকই করেছে। বাবার লাইব্রেরি ছিল তার পড়ার জায়গা। অসুস্থ মায়ের সেবা করে যতটুকু সময় পেতেন ওই লাইব্রেরিতে গিয়ে বসতেন। ছোট ভাই অরভিলও পড়ুয়া ছিলেন।

এক পর্যায়ে দুই ভাই প্রিন্টিং-এর ব্যবসা শুরু করেন। দুজনে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ‘WEST SIDE NEWS’ নামের এই পত্রিকাটি বেশ পাঠকপ্রিয় হয়। নিজেদের কাগজ ছাড়াও তাদের প্রেসে আরও কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো হতো। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে দুই ভাই ছাপাখানার ব্যবসা বাদ দিয়ে বাই সাইেকেল তৈরির কারখানা করেন। এতে তাদের অর্থনৈতিক সফলতা আসে। এবার সেই ছোট্ট বেলার আকাশে ওড়ার সুপ্ত বাসনা বাস্তবায়নের জন্য তারা মনোযোগী হন।


image

এ জন্য দুই ভাই সংগ্রহ করেন স্যার জর্জ কেইলি, চানিউট, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং ল্যাংলির এরোনেটিক সংক্রান্ত গবেষণার তথ্যাদি। ১৮৯৬ এবং ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত বিমান তৈরির ওপর যত প্রকাশনা রয়েছে সেগুলো তারা সংগ্রহ করে মনোযোগ দিয়ে পড়েন। কেননা ওই সময় তাদের মতো অনেকেই উড়োজাহাজ তৈরির চেষ্টা করছিল। কিন্তু কেউই সেভাবে সফল হতে পারেননি। তাদের দেখানো পথ ধরেই এবার রাইট ভাতৃদ্বয় শুরু করেন ক্লান্তিহীন গবেষণা। 

১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে উইলবার পাঁচ ফুট উচ্চতার একটি বাক্স ঘুড়িতে পাখা বেঁধে ওড়ার চেষ্টা করেন। পরের বছরই তারা Glider তৈরি করেন। এটিকে ওড়ানোর জন্য আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হকে নিয়ে আসা হয়। উড্ডয়নটি মাত্র ১২ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তাতে অবশ্য তারা দমে যাননি। এরপর ১৯০১ এবং ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে পরপর দুটি পরীক্ষা করেন। তৃতীয়বার তারা নিজেদের উদ্ভাবিত যন্ত্র ব্যবহার করে কিছুটা সাফল্য পান। প্রায় এক হাজার বার এটি ওড়ানো হয়। এর নাম দেন ‘Flyer-1’. ১৯০৩-এর ২৩ মার্চ রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড্ডয়নকৃত গ্লাইডারের প্যাটেন্ট লাভের জন্য আবেদন করেন। এরপর তারা সাধনা অব্যাহত রেখে ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে তৈরি করেন Flyer-111. এবং এটিতে তারা ১০৫ বার উড্ডয়ন করেন। এ ঘটনা পৃথিবীর সকল গণমাধ্যম বিশেষ করে আমেরিকার বিখ্যাত ‘হেরল্ড ট্রিবিউন’ পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়।


image


১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দুই ভাই উড়োজাহাজকে আরও নিরাপদ উড্ডয়নের জন্য ব্যাপক গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। তারা গবেষণা কাজে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। পরে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি এবং আমেরিকার সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা চুক্তি হয়। চুক্তির শর্তানুসারে দুই ভাইকে দুই দেশে আলাদাভাবে ফ্লাইং করতে হবে। চুক্তি মোতাবেক বড় ভাই উইলবার ফ্রান্সে এবং অরভিল ওয়াশিংটন ডিসিতে কাজ করেন।

উইলবারের এই গবেষণা ফ্রান্সের এ্যারোনোটিক্যাল গবেষকরা এবং সংবাদ মাধ্যম ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তাদের ভ্রুকুটি সত্ত্বেও উইলবার ১৯০৮-এর ৮ আগস্ট বিমান নিয়ে সফলভাবে আকাশে ওড়েন। এই উড্ডয়ন সফল ছিল। হাজার হাজার দর্শকদের সামনে উইলবারের এই আকাশে ওড়া দুর্মুখদের একেবারে থামিয়ে দেয়। ওই বছর ১৪ মে ডেটনের চার্লি ফারনাস নামের একজন সহকারী প্রথম যাত্রী হিসেবে উইলবারের সাথে ফিক্সট উইং এয়ারক্রাফ্টে ভ্রমণ করেন। ৮ অক্টোবর প্রথম আমেরিকান নারী এডিথ বার্গ (একজন ব্যবসায়ীর স্ত্রী) উইলবারের সঙ্গে আকাশে ওড়েন।

উইলবার এবং অরভিল বাবার কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন তারা একসঙ্গে উড্ডয়ন করবেন না। বাবা সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন। অরভিল যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট মায়ারে অবস্থিত ইউনাইটেড স্টেট আর্মি চত্বরে ১৯০৮-এর সেপ্টেম্বর সফলভাবে বিমানের সাহায্যে আকাশে ওড়েন। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর তিনি একাকী এক ঘণ্টা ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড একটানা ভ্রমণ করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট টমাস সেলফ্রিজকে অবজারভার হিসেবে সঙ্গে নিয়ে আকাশে ওড়েন। কিন্তু এদিন একশ ফুট ওপর দিয়ে কয়েক মিনিট ওড়ার পর বিমানের প্রোপেলার ফেটে যায় এবং বিমানটি কাঁপতে থাকে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পরে। সেলফ্রিজের মাথায় আঘাত লাগে এবং তিনি মারা যান। সেটিই ছিল বিমান দুর্ঘটনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। অরভিল এই দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হলেও বেঁচে যান। এরপর ১২ বছর অরভিল আর বিমানে উড্ডয়ন করেননি।

ছোট ভাইয়ের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও উইলবার আরও সাহসী হয়ে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের অঙ্গীকার করেন। ১৯০৯-এর গোড়ার দিকে অরভিলের সঙ্গে ফ্রান্সে তার বোন ক্যাথেরিন যোগ দেন। এ সময় তারা হয়ে ওঠেন পৃথিবীর সবচেয়ে গর্বিত ও আলোচিত পরিবারের সদস্য। বিশ্বের সব মানুষের মনোযোগ তারা কেড়ে নিয়েছিলেন। ১৯১০-এর ২৫ মে হাফমান প্রেইরিতে উইলবার দুটি বিশেষ উড্ডয়ন করেন। তিনি বাবার কাছে দেয়া প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে ছোট ভাই অরভিলকে নিয়ে ৬ মিনিট উড্ডয়ন করেন। সেটিই ছিল প্রথম এবং শেষবারের মতো দুই ভাইয়ের একত্রে আকাশে ওড়া। এরপর উইলবার তার ৮২ বছরের বৃদ্ধ বাবা মিল্টন রাইটকে নিয়ে ৭ মিনিট আকাশে ওড়েন। বিমানটি সাড়ে তিনশ ফুট ওপর দিয়ে ওড়ার সময় বাবা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলতে থাকেন, ‘উপরে আরও উপরে ওঠো উইলবার’। সেটিই ছিল মিল্টনের একমাত্র ফ্লাইট।

image

রাইট ভ্রাতৃদ্বয় ছিলেন চিরকুমার। ব্যস্ততার কারণে তাদের দুজনের বিয়ে করা হয়নি। বিয়ে প্রসঙ্গে উইলবারের সরল এবং সরস উক্তি- ‘আমাদের কারোরই সময় ছিল না একইসঙ্গে একজন স্ত্রী এবং একটি এরোপ্লেন রাখার।’ মাত্র ৪৫ বছর বয়সে উইলবার ১৯১২-এর ৩০ মে মৃত্যুবরণ করেন। উইলবার সম্পর্কে বাবা মিল্টন ডায়েরিতে লেখেন, ‘একটি ছোট জীবন, প্রাপ্তিতে ভরা। অপরাজিত বুদ্ধিমত্তা, চিরশান্ত মেজাজ, বিশাল আত্মনির্ভরতা এবং মহান বিনয়ী, সঠিককে পরিস্কারভাবে দেখা, এর পেছনে অবিচল লেগে থাকা, তিনি বেঁচেছিলেন এবং মারা গেলেন।’ ছোট ভাই অরভিল মারা যান ১৯৮৮-এর ৩০ জানুয়ারি। এখনকার বিমান অত্যাধুনিক। শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিসম্পন্ন বিমান আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে বিমান তৈরির সেই প্রথম মুহূর্তগুলো ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং রোমাঞ্চকর। জীবনকে তুচ্ছ জ্ঞান করে বিমান আবিষ্কার করে রাইট ভ্রাতৃদ্বয় ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আর্কিমিডিসের মৃত্যুর রহস্য কি?

ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে সিসিলি গুরুত্বপূর্ন অবস্থানে ছিলো। রোমান এবং কার্থেজদের মধ্যে ভয়াবহ দ্বিতীয় পুনিক যুদ্ধ শুরু হয়। দুই দেশের মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় স্বভাবতই সিসিলি যুদ্ধকে এড়িয়ে যেতে পারলো না। আর্কিমিডিসের গাণিতিক কৌশলে দুই বছরের মত সিরাকুস আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হয়। আর্কিমিডিস সমুদ্র উপকূলে বিশাল বিশাল দর্পণ স্থাপন করেন। সূর্য্যরশ্মিকে দর্পণে প্রতিফলিত করে তিনি শত্রুজাহাজে আগুন ধরিয়ে দিতেন। তখনকার সময়ে জাহাজ নির্মিত হত কাঠ দিয়ে। কাঠ আর আগুনের সম্পর্ক তো আমাদের সবার জানা। কোথাও কিছু নেই। হঠাৎ গরম হাওয়া এসে জাহাজে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। ভৌতিক এই ব্যাপারে শত্রুপক্ষ কাবু হয়ে গেলো। তারপর একসময় রোমানরা শহর দখল করে নেয়। 


image

বিখ্যাত ইতিহাসবিদ প্লুতার্কের বর্ণনা অনুসারে খ্রিষ্টপূর্বাব্দ ২১২ সালে “মারকুস ক্লডিয়াস মারসেলাস” সিরাকুস দখল করে নেন। মারসেলাস গণিতবিদ আর্কিমিডিসকে খুব শ্রদ্ধা করতেন। তিনি মহামান্য এই মনিষীকে দেখতে চাইলেন। তিনি সৈন্যদের বললেন আর্কিমিডিসকে তার দরবারে হাজির করতে। রাজানুগত সৈন্যদের স্বভাবটাই এরকম যে ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে। দেশে এই দূর্যোগ চলছে আর্কিমিডিসের সেদিকে কোন খেয়াল নেই। তিনি গণিতের জটিল কোন সমস্যার সমাধানে মগ্ন ছিলেন। সৈন্য আর্কিমিডিসকে আদেশ দিলো তার সঙ্গে মারসেলিয়াসের গৃহে যাওয়ার জন্য। আর্কিমিডিস সৈন্যের আদেশ প্রত্যাখান করে আবার গাণিতিক সমস্যার সমাধানে নিমগ্ন হলেন। 

অনেকে বলে থাকেন আর্কিমিডিসের শেষ উক্তি ছিলো “আমাকে বিরক্ত করো না।” [ইংরেজীঃ "Do not disturb my circles" (গ্রীকঃ μή μου τοὺς κύκλους τάραττε), (ল্যাতিনঃ "Noli turbare circulos meos,")] আর্কিমিডিস যে শেষ মূহুর্তে এই কথাটি বলেছিলেন সে বিষয়ে গ্রহনযোগ্য কোন উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। হাতে অস্ত্র থাকলে মানুষের স্বভাব এমনিতেই হিংস্র হয়ে যায়। সৈন্য তার মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না। কোষ থেকে তরবারি উন্মুক্ত করে আর্কিমিডিসের গর্দান বরাবর চালিয়ে দিলেন। পৃথিবী এক মহা মানবকে চিরতরে হারালো। পঁচাত্তর বছর বয়সে। ঠিক হারিয়ে যায় নি। আমি তুমি আমরা সবাই একদিন নেই হয়ে যাবো। অনাগত ভবিষ্যত আর্কিমিডিসের মত কিছু জ্ঞানপিপাসু মহামানবকে চিরদিন মনে রাখবে।

আর্কিমিডিসের মৃত্যুর খবর পেয়ে মারসেলাস বড়ই ব্যথিত হলেন। সেকালে শত্রু পক্ষের লোকের লাশকে নানাভাবে নিঃগৃহিত করা হত। মারসেলাস যথাযথ সম্মান সহকারে আর্কিমিডিসের শেষকৃত্যু সম্পাদনের নির্দেশ দিলেন। আর্কিমিডিসের পূর্ব ইচ্ছা অনুযায়ী তার সমাধিতে একটি সিলিন্ডারের ভিতরে গোলক রাখা হয়। এটি আর্কিমিডিসের বিখ্যাত একটি আবিষ্কার। স্কুলে পড়ার সময় আমরা অনেকেই পড়েছি। গোলকের আয়তন সিলিন্ডারের আয়নের দুই তৃতীয়াংশ। কিন্তু কখনো কি জানার চেষ্টা করেছি সর্বপ্রথম কে এটা প্রমান করেন?

খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৭৫ অব্দে আর্কিমিডিসের মৃত্যুর ১৩৭ বছর পর সিসিলি শাসন করতেন রোমান রাজা ওরাতোর সিসেরো। তিনি আর্কিমিডিসের সমাধি সম্পর্কে অবগত হলেন। কিন্তু এর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য জানতেন না। স্থানীয় লোকেরা কোন তথ্য জানাতে পারলো না। সিরাকুসের এগরিগেন্টেন গেটের কাছাকাছি জায়গায় তিনি আর্কিমিডিসের পরিত্যক্ত সমাধি খুঁজে পান। ভগ্ন সমাধির গায়ে বুনো লতা জন্মেছে প্রচুর পরিমানে। সিসেরো সমাধিকে পরিচ্ছন করেন। তিনি সমাধি গাত্রে লেখা কিছু লিপি’র পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হন। তারপর একসময় কালের গর্ভে আর্কিমিডিসের সমাধি আবার হারিয়ে যায়। ১৯৬০ সালে সিরাকুসের এক হোটেলের উঠোনে পরিত্যক্ত এক সমাধিকে আর্কিমিডিসের সমাধি বলে দাবি করা হয়।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আর্কিমিডিস ভরের নিত্যতার সুত্র আবিষ্কার করেন কিভাবে?
ভিট্রুভিয়াসের বর্ণনানুসারে, সিরাকুসের রাজা হিয়েরো দেবতার মন্দিরে উৎসর্গ করার জন্য নতুন একটি রাজমুকুট তৈরী করতে চাইলেন। নবনির্মিত রাজমুকুটটি হতে হবে নিখাদ সোনার। স্বর্নকারকে ডাকা হলো। স্বর্নকার রাজী হলো। রাজার হুকুমে গররাজী হবার সাহস রাজ্যে কার আছে! তিনি স্বর্নকারের বাড়ি খাঁটি সোনা পাঠিয়ে দিলেন। এরপর রাজার অপেক্ষার পালা। একসময় রাজমুকুট রাজগৃহে রাজদরবারে হাজির করলো স্বর্নকার। রাজা জহুরিকে দিয়ে ওজন করিয়ে নিলেন। নাহ! রাজার দেয়া স্বর্নের সমান ওজনের এই মুকুট। তবু রাজার মনে সন্দেহ হতে লাগলো। স্বর্ণকারদের স্বভাব হলো চুরি করা। সে নিশ্চিত কিছু সোনার সাথে রূপা মিশ্রিত করে এই মুকুটের ওজন ঠিক রেখেছে। ফাঁকি দিয়ে সে যাবে কোথায়। ডাকো আর্কিমিডিসকে। আর্কিমিডিসকে ডাকা হলো। রাজার মুকুটটি খুব পছন্দ হয়েছে। তিনি এটা ভাঙতে রাজী নন।

রাজা হিয়েরো আর্কিমিডিসকে খুব পছন্দ করতেন। পৃথিবীর অধিকাংশ শাসকই শিল্প সাহিত্যের কদর করতেন। কিন্তু তাদের একটা বদ স্বভাব ছিলো। কোন কিছুর নির্দেশ দিলে বলতেন, এটা তোমাকে করতে হবে নাহলে তোমার গর্দান নেবো। রাজা আর্কিমিডিস’কে বললেন মুকুটের খাদ নির্ণয় করতে কিন্তু মুকুটটিকে ভাঙা যাবে না। আর্কিমিডিস খুব টেনশানে পড়ে গেলেন। টেনশানে পড়লে আমাদের অনেকেই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেয়। আর্কিমিডিস খাওয়া ছেড়েছিলেন কিনা জানিনা কিন্তু নাওয়া ছাড়েন নাই। স্নান করা ছেড়ে দিলে ভরের এই বিখ্যাত নিত্যতা সুত্র আবিষ্কৃত হত কিনা তা বলা যায় না। আর্কিমিডিস হাম্মাম খানায় গোসল করতে গেলেন। তখনকার দিনে মানুষ হাম্মামখানায় গোসল করতে যেত। সকল কাপড় খুলে রেখে উদোম গায়ে বাথটাবে শুয়ে গোছল করত। আর্কিমিডিস চিন্তায় ডুবে ছিলেন। কানায় কানায় টইটুম্বুর বাথটাবে তিনি নামলেন। কিছু জল উপচে পড়ল। আর্কিমিডিসের মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেলো। তিনি সহসা তার সমস্যার সমাধান করে ফেললেন। তিনি সোনার মুকুটের আয়তন বের করতে পারবেন মুকুটটি দ্বারা অপসারিত পানির পরিমান দ্বারা। বস্তুর দ্বারা অপসারিত পানির আয়তন এবং বস্তুর আয়তন সমান। আর্কিমিডিস তার নিজের আবিষ্কারে মুগ্ধ হলেন। তার আর তর সইছিলো না। সে তখনি রাজ প্রাসাদে ছুটলেন। তার খেয়াল ছিলোনা যে তার পরনে কোন পোষাক নাই। সিসিলির রাস্তা দিয়ে নগ্ন আর্কিমিডিস “ইউরেকা” “ইউরেকা” বলে চিৎকার করে দৌড়াতে লাগলেন। গ্রীক ভাষায় ইউরেকা বলতে বোঝানো হয় আমি পেয়েছি। গ্রীকঃ "εὕρηκα!"। সোনার সাথে যদি অন্য কোন কম ঘনত্বের ধাতু মেশানো হয় তবে অপসারিত পানির পরিমান সমপরিমান খাঁটি সোনা দ্বারা অপসারিত পানির পরিমানের থেকে কম হবে। আর্কিমিডিস পরীক্ষা দ্বারা প্রমান করলেন মুকুটে রূপা মিশিয়ে ভেজাল দেয়া হয়েছে। চতুর্থ অথবা পঞ্চম শতাব্দীতে লিখিত লাতিন কবিতা “কারমেন দে পনদেরিবাস এট মেনসুরিস”য় আর্কিমিডিসের সোনার মুকুটের খাঁদ নির্ণয়ের কথা বলা হয়েছে।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আর্কিমিডিসের স্ক্রু আবিষ্কারের কাহিনি কি?
সিরাকুসের রাজার নাম দ্বিতীয় হিয়েরো। গ্রীক লেখক এথেনাস অফ নক্রেতিসের লেখা থেকে জানা যায়, রাজা বিশাল এক জাহাজ নির্মান করেন। সেই সময়ে সেই জাহাজে ছয়শত লোক আরোহন করতে পারত। জাহাজে বাগান, জিমনেসিয়াম এবং দেবী আফ্রোদিতির মন্দির ছিলো। একবার রাজা হিয়েরোর জাহাজের খোলে বেশ বৃষ্টির পানী জমে গেলো। এতবড় জাহাজ থেকে পানি সেঁচা বেশ ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। কিং হিয়েরো আর্কিমিডিসকে ডেকে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান করে দাও পন্ডিত। আর্কিমিডিস একটা মেশিন তৈরী করলেন। তিনি একটি ফাঁপা টিউব নিলেন। টিউবের ভিতর একটি দন্ড রাখা হলো। দন্ডের গায়ে সর্পিলাকার প্যাচানো মোটা কয়েল লাগানো। দন্ডের একমাথায় হাতল লাগানো। হাতল ঘোরালে পানি জাহাজের খোল থেকে টিউব বেয়ে বাইরে এসে পড়ছে। উন্নয়নশীল দেশে চাষাবাদের জন্য ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলনের জন্য আর্কিমিডিসের সুত্র আজো ব্যবহার করা হয়। ভিট্রুভিয়াসের বর্ণনা থেকে জানা যায় রোমানরা আর্কিমিডিসের স্ক্রুর ব্যবহার জানতেন। পৃথিবীর সপ্তাচার্য্যের অন্যতম আশ্চর্য্য ব্যবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানে স্ক্রু পাম্পের সাহায্যে পানি সেঁচ দেয়া হত। ১৮৩৯ সালে পৃথিবীর প্রথম স্টিম চালিত জাহাজ জলে ভাসে। সে জাহাজে আর্কিমিডিসের স্ক্রু’র মত স্ক্রু প্রোপেলার ব্যবহার করা। আর্কিমিডিসকে সম্মনা দেখিয়ে জাহাজের নামকরণ করা হয় এসএস আর্কিমিডিস।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
আর্কিমিডিসের জন্ম হয় কিভাবে?
অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে সিসিলি গঠিত। তেমনি একটি দ্বীপ সিসিলির বন্দরনগরী, নাম সিরাকুস। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে সিরাকুস ছিলো ব্যবসা, কলা এবং বিজ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র। সিরাকুসে’র একজন জ্যোতির্বিদ এবং গণিতবিদ “ফিডাসের” ঘরে ২৮৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করেন। আর এই শিশুপুত্রটিই হলেন আর্কিমিডিস। আর্কিমিডিসের শিশুকাল সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য জানা যায় না। আর্কিমিডিস ছিলেন জ্ঞান পিপাসু। তিনি জ্ঞানের পূণ্যভূমি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় পাড়ি জমান বিদ্যা লাভের আশায়। ৩৩১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্দার দ্যা গ্রেট কর্তৃক আলেকজান্দ্রিয়া নগর প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময়ে আলেকজান্দ্রিয়ায় ইউক্লিড নাম্নী প্রখ্যাত গণিতবিদ বাস করতেন। তিনি গ্রীসের জ্যামিতি বিষয়ক সূত্র, সম্পাদ্য, উপপাদ্য সংগ্রহ করে একটি বই লেখেন। সেই বই “দ্যা এলিমেন্টস” দুইহাজার বছর ধরে জ্যামিতি শিক্ষার মৌলিক বই হিসেবে অভিহিত হয়ে আসছে। বিদ্যালাভ শেষ করে আর্কিমিডিস সিরাকুসে ফিরে আসেন।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাংলাদেশের 'পশ্চিমা বাহিনীর নদী' বলা হয় কোনটিকে?
ডাকাতিয়া বিলকে বাংলাদেশের 'পশ্চিমা বাহিনীর নদী' বলা হয়।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
নারিকেল জিঞ্জিরা কার অপর নাম?

নারিকেল জিঞ্জিরা সেন্টমার্টিন এর অপর নাম।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর কার্যক্রম

স্কোর:
1,360 পয়েন্ট (র‍্যাংক #1)
প্রশ্ন:
208
উত্তর দিয়েছেন:
210
মন্তব্য করেছেন:
1
ভোট দিয়েছেন:
4 টি প্রশ্ন, 4 টি উত্তর
দিয়েছেন:
8 টি আপ ভোট, 0 টি ডাউন ভোট
পেয়েছেন:
17 টি আপ ভোট, 0 টি ডাউন ভোট
...