এখন পর্যন্ত প্রোগ্রামিং ল্যান্নগুয়েজের সর্বমোট পাঁচটি প্রজন্ম বা জেনারেশন রয়েছে।
প্রতিটি প্রজন্মের কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো:
প্রথম প্রজন্ম (1GL):
-
মেশিন ভাষা ব্যবহার করে লেখা হয়।
-
কম্পিউটারের নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের জন্য তৈরি করা করা হয়েছিল।
-
এটি শিখা এবং ব্যবহার করা খুবই কঠিন ছিল।
-
প্রথম প্রজন্মের উদাহরণ: মেশিন কোড।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (2GL):
-
অ্যাসেম্বলি ভাষা ব্যবহার করে লেখা হয়।
-
মেশিন ভাষার তুলনায় আরও সহজবোধ্য।
-
কিছুটা প্রোটেবল, কিন্তু সীমিত।
-
দ্বিতীয় প্রজন্মের উদাহরণ: অ্যাসেম্বলার।
তৃতীয় প্রজন্ম (3GL):
-
উচ্চ-স্তরের ভাষা ব্যবহার করে লেখা হয়।
-
মানুষের জন্য আরও সহজবোধ্য এবং লেখার জন্য খুবই সহজ।
-
আরও প্রোটেবল, বিভিন্ন হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
তৃতীয় প্রজন্মের উদাহরণ: C, C++, Java, Python, PHP, Perl.
চতুর্থ প্রজন্ম (4GL):
-
আরও উচ্চ-স্তরের ভাষা ব্যবহার করে লেখা হয়।
-
নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
-
ডেটাবেস অ্যাক্সেস, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের মতো কাজের জন্য উপযুক্ত।
-
চতুর্থ প্রজন্মের উদাহরণ: SQL, Visual Basic, COBOL.
পঞ্চম প্রজন্ম (5GL):
-
এখনও উন্নয়নাধীন। প্রতিনিয়তই আপডেট হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে।
-
মানুষের জন্য আরও সহজবোধ্য এবং ব্যবহার করা সহজ হবে।
-
পঞ্চম প্রজন্মের উদাহরণ: Prolog, Lisp.
প্রোগ্রামিং ভাষার প্রজন্মের ধারণা একটি ক্রমবর্ধমান ধারণা। প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সাথে সাথে নতুন ভাষা তৈরি হচ্ছে এবং প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ গুলো উন্নত করা হচ্ছে।